ঢাকা , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ , ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
শেষবারের মতো পর্দায় ফিরছে ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ শুধু পুরুষদের বিনোদনের জন্য ভাবা হতো আমাকে : স্কারলেট মাফিয়া চক্র নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন আমির খান বিজয়ের সঙ্গে প্রেমের গুজব নিয়ে মুখ খুললেন ফাতিমা এবার পাইরেসির কবলে পড়লো ‘কান্নাপ্পা’ ব্যস্ততার মাঝেই জন্মদিন পালন করলেন জয়া শাকিব খানকে ‘মেগাস্টার’ বলতে নারাজ জাহিদ হাসান নিজের মৃত্যুর গুজব নিয়ে যা জানালেন মাহি আবারও ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক ২৬ জনকে গ্রেফতারের নির্দেশ ছয় মাসে কর্মস্থলে ঝরেছে ৪২২ শ্রমিকের প্রাণ জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কর্মসূচির মাধ্যমে নজীর সৃষ্টি করবে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরাতে চীন ইতিবাচক-ফখরুল ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে দায়িত্বশীল হতে হবে-এনবিআর চেয়ারম্যান এনবিআরে কাজ শুরু পুরোদমে স্বাভাবিক দফতরের কার্যক্রম বহুজাতিকের শেয়ারও ছাড়ছে বিদেশিরা আজ বিএনপির কর্মসূচিতে খালেদা-তারেকের বার্তা থাকবে আশা রিজভীর এনসিপি সততা ও আর্থিক স্বচ্ছতার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ-আপ বাংলাদেশ

জুনেই আইএমএফের ঋণের অর্থ পাচ্ছে বাংলাদেশ

  • আপলোড সময় : ১৪-০৫-২০২৫ ০৬:৩৫:২৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০৫-২০২৫ ০৬:৩৫:২৯ অপরাহ্ন
জুনেই আইএমএফের ঋণের অর্থ পাচ্ছে বাংলাদেশ
অবশেষে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে বাংলাদেশের জন্য অর্থ ছাড় করতে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির কাছ থেকে নেয়া মোট ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের শেষ দুটি কিস্তির অর্থ আগামী জুনে পেতে পারে বাংলাদেশ। ওই মাসেই আইএমএফের বোর্ড সভায় বাংলাদেশের ঋণ প্যাকেজের শেষ দুই কিস্তি অনুমোদন করা হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে দফায় দফায় বৈঠকের পর অর্থ ছাড় নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা শুধু এ সুখবরটি দিতে পারি যে, জুনে ঋণের কিস্তির ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার (১৩০ কোটি ডলার) ছাড় হবে। জুনের (আইএমএফের) বোর্ড সভায় এ অর্থ ছাড় হবে বাংলাদেশের জন্য। বিস্তারিত আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গভর্নর বিস্তারিত জানাবেন বলেও ওই কর্মকর্তা জানান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, মুদ্রা বিনিময় হারে আরও নমনীয়তা আনার বিষয়ে দীর্ঘদিনের মতপার্থক্যের অবসান ঘটিয়ে আইএমএফ ঋণের কিস্তির অর্থ ছাড় করতে সম্মত হয়েছে। জুনে বোর্ড সভায় বাংলাদেশের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার (৪৭০ কোটি ডলার) ঋণ প্যাকেজের পরবর্তী দুটি কিস্তি অনুমোদন করবে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে অর্থ ছাড়ের জন্য নির্ধারিত থাকলেও সংস্কারের শর্ত পূরণ না হওয়ায় তা বিলম্বিত হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বা ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত ৭ কিস্তিতে এ ঋণ দেয়ার কথা। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত তিনটি কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৩১ কোটি ডলার। এ হিসাবে ঋণের বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার। গত বছরের ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তির অর্থ পাওয়ার কথা থাকলেও নানা শর্তে তা আটকে দেয় আইএমএফ।
তখন আইএমএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শর্ত পূরণ করলে চলতি বছরের মার্চে ঋণের চতুর্থ কিস্তি পাবে বাংলাদেশ। তবে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় ঘোষণা আসে, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একত্রে চলতি বছরের জুনে দেয়া হতে পারে। এ নিয়ে এপ্রিলে বাংলাদেশে সফরে এসেছিল আইএমএফ প্রতিনিধিদল। ঋণের এই অর্থ ছাড় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার পাশাপাশি বিনিয়োগকারী ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের আস্থা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স